রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভোগান্তিতে এলাকাবাসি
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রৌমারীতে কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমেআসা পাহাড়ি ঢলে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর,বন্দবেড়,চরশৌলমারী ও শৌলমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সড়ে জমিনে গিয়ে দেখাযায়, নওদাপাড়া, চান্দারচর, রতনপুর, বেহুলারচর, মোল্লারচর,খাটিয়ামারী, বোল্লাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, ভুন্দুরচর, ইজলামারী,পূর্ব ইজলামারী, বারবান্দা, চুলিয়ারচর, ঝাউবাড়ী, বাইমমারী, ফলুয়ারচর, কুটিরচর, পালেরচর,পশ্চিম খনজনমারা,সোনাপুর,চরগেন্দারআলগা,বড়াইবাড়ী, খেতারচরসহ ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে চর নতুনবন্দর স্থলবন্দরটিও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে আমদানি ও রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। এতে মানোবেতন জীবন যাপন করছে প্রয় ৬ হাজার শ্রমিক। গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মানকারচর কালো নদী দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জিঞ্জিরাম নদী দিয়ে নেমে আসে এ পানি। এতে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জিঞ্জিরাম নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদেও কিনারা উপচে গিয়ে ঐসব এলাকা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩০টি গ্রাম। ফলে ঐ এলাকার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা বা ভেলাদিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পারাপার হচ্ছে।
রৌমারী সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আমার এলাকার নওদাপাড়া, চান্দারচর, খাটিয়ামারী, বোল্লাপাড়া, বামনেরচর ও চর নতুনবন্দরসহ বেশকয়েটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঐ এলাকা মানুষ বর্তমানে নৌকা ও কলাগাছের ভেলাদিয়ে জীবনের ঝুকিনিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে।
রৌমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যন আব্দুল রাজ্জাক বলেন, কয়েকদিনের বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আামার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আরো কয়েকদিন এ অবস্থা থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।
চরশৌলমারী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান একে এইচ এম সাইদুর রহমান দুলাল জানান কয়েক দিনে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আমার চরশৌলমারী ইউনিয়নে প্রয় চার শত পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বন্যগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রানের সংকট দেখাদিয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থপরিবারের মাঝে দ্রুত শুকনা খাবার র্পৌছানো দরকার বলে জানান।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু বলেন,আমি অনেক এলাকা পরিদর্শন করেছি, বন্যার পরিস্থিতি ভালো না । অস্বাভাবিক ভাবে বন্যার পানিবৃদ্ধি হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় আট হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়েছে। তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে। বন্যগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে ত্রানের সংকট দেখাদিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পাট,আউশ ধান,তিলের ক্ষেত, চিনা,কাউন ও শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে গেছে।