পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউন, অন্ধকারে ছিলেন কোটি গ্রাহক
পল্লী বিদ্যুতের কর্মীদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে অন্তত ৩৫ জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় কোটি গ্রাহক অন্ধকারে ছিলেন। বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মীরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেন। তবে আটকদের মুক্তির আশ্বাস পাওয়ায় রবিবার পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ, এবং তাদের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে গতকাল শাটডাউন পালন করা হয়।
এদিকে, কর্মসূচির কারণে ভোগান্তির শিকার হন গ্রাহকরা। কোথাও পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না, এবং জাতীয় গ্রিডের ওপরও চাপ পড়েছে। সেনাবাহিনী ও প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে হস্তক্ষেপ করেছে।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চাকরি নিয়মিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, মাগুরা, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, নওগাঁ, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ।
মানিকগঞ্জে চার কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনী এবং ফেনীতে একজন কর্মকর্তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মাগুরায় চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গ্রাহকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সচিব হাসিনা বেগম জানিয়েছেন যে বিদ্যুৎ চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং মাঠপর্যায়ের অফিসগুলো কাজ করছে।