জাহাজে ডাকাতের হামলা: ৫ গলাকাটা লাশ উদ্ধার, হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর করা সারবাহী জাহাজে ডাকাতের হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকালে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ৫ গলাকাটা মরদেহ এবং গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আহতদের মধ্যে আরও ২ জন মারা যান।
নৌ-পুলিশ জানায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ইশানবালা খালের মুখে নোঙর করা এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজে এই হামলা চালানো হয়। জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল, যাদের বেশিরভাগের গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাতে দুর্বৃত্তরা জাহাজটিতে হামলা চালিয়ে চালকসহ কর্মীদের হত্যা করে। একজন আহত ব্যক্তি, যিনি আংশিক গলাকাটা অবস্থায় বেঁচে ছিলেন, কাগজে লিখে নিজের নাম জুয়েল বলে জানান।
চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আনিসুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক তদন্তে বোঝা যাচ্ছে, শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মহসিন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। জাহাজে থাকা পণ্য ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় মেঘনা নদীতে নৌযান ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।