নাগরিক অধিকার

সবুজ সমারোহের মাঝে প্রান্তিক কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

বিস্তৃত মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহে সোনালী ফসলের আভা, চারপাশে যেন এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। ধানের শীষ দুলছে, আর সেই দুলুনি যেন প্রান্তিক কৃষকদের রঙিন স্বপ্নকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ। অধিকাংশ জমির ধান ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করেছে, আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে ধান কাটা। তখন কৃষকের আঙিনা ভরে উঠবে সোনালী ধানের হাসিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে আক্কেলপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। গত মৌসুমে ধানের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবার এখানে স্বর্ণ-৫, গুটি স্বর্ণ, বিনা ধান ১৭, ২২, ২৭, ব্রি ধান-৭৫, ৯০, ১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আরও ৫ হেক্টর জমিতে পৌঁছেছে।

নারিকেলী গ্রামের কৃষক শাহাজাহান আলী বলেন, “গতবার লাভ হওয়ায় এবার আরও বেশি জমিতে ধান চাষ করেছি। শুরুর দিকে ধানের পাতায় লালচে সমস্যা দেখা দিলেও কৃষি অফিসের পরামর্শে সঠিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে এখন গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে। আশা করছি, প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণের কম ফলন হবে না।”

গোপীনাথপুর ঘোষপাড়া গ্রামের কৃষক বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাই না থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। খরচ বাদে আমরা ভালো লাভের প্রত্যাশা করছি। আশা করছি, প্রতি মণ ধান ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি করতে পারবো, যা আমাদের জন্য বেশ লাভজনক হবে।”

আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরান হোসেন জানান, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে কিছু রোগ দেখা দিলেও পরবর্তীতে ব্যবস্থার ফলে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন মাঠের ৮০ ভাগ ধান পাকতে শুরু করেছে, তাই আমরা কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পরামর্শ দিচ্ছি।”