রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে
বিদ্যুৎ খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে থাকা আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন এবং সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন।
তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি, আর বাকি পাঁচজন অন্য মামলার আসামি।
শুক্রবার আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহমান দেওয়ান। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের খিলক্ষেত থানার আইন শাখার পরিচালক (প্রশাসন) আরশাদ হোসেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা-কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িত হয়ে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তাদের এমন কার্যকলাপের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।