‘৩ ইসরায়েলির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা শেষ পর্যন্ত কেটে গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শনিবার তাদের হাতে বন্দি তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিচ্ছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি।
হামাস আগেই আমেরিকান-ইসরায়েলি ইয়াইর হর্ন এবং রাশিয়ান-ইসরায়েলি সাগুই দেকেল-শেন ও সাশা ত্রুফানভ নামের তিন ইসরায়েলিকে মুক্তির ঘোষণা দেয়।
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হওয়ায়, প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের (৪২ দিন) যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দূর হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা সংলগ্ন কিবুতজ নির ওজ এলাকায় হামলা চালানোর সময় এই তিন ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে যায় হামাস।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের পাল্টাপাল্টি হুমকির কারণে যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রায় ভেঙে যেতে বসেছিল। হামাস অভিযোগ করেছিল, ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে এবং এর জবাবে তারা আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। এর পাল্টায় ইসরায়েলও ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়ে রিজার্ভ সেনা তলব ও সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়।
এর আগে, হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া তিন জিম্মির শারীরিক দুর্দশা ও তাদের প্রতি দুর্ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশিত হলে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে সরকার যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সচল রাখে, সেই দাবি ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে অঞ্চলটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তরের আহ্বানও যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও আরব দেশগুলো ট্রাম্পের প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবারের আগে হামাস ৩৩ জন জিম্মির মধ্যে ১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছিল, যাদের মধ্যে পাঁচজন থাই নাগরিক ছিলেন। বর্তমানে গাজায় এখনও ৭৬ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের প্রায় অর্ধেক জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।