নাগরিক অধিকার

হেলাল হাফিজের শেষ শয্যা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে

প্রখ্যাত কবি হেলাল হাফিজের শেষ শয্যা হবে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। শনিবার তার দাফন সম্পন্ন হবে। এর আগে সকাল ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

কবির বড় ভাই দুলাল হাফিজ জানান, শুক্রবার রাতে মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে। তিনি বলেন, “সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে আলাপ করে আমরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

হেলাল হাফিজ ছিলেন অকৃতদার ও নিঃসঙ্গ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পাশে একটি হোটেলের কক্ষে তিনি একাকী বসবাস করতেন। তার ভাই বলেন, “আমরা তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তিনি থাকতে চাননি। অসুস্থ অবস্থায়ও হাসপাতালে ভর্তি হতে অনীহা প্রকাশ করেন।”

কোভিড-পরবর্তী সময়ে তিনি শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন। তার সহবাসী রূপম রোদ্দর গত তিন বছর ধরে কবির দেখাশোনা করেছেন। রূপম বলেন, “উনি একাকিত্বে ভুগছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও হাসপাতালে থাকতে চাইতেন না। দুপুরে বাথরুমে পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউর রহমান জানান, “বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।”

হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার অসামান্য কবিতাগুলো পাঠকের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।