সালথায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজে কাঁদলো মুসল্লীরা
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তপ্ত রোদে পুড়ছে ফসলের মাঠসহ নদী নালা। গরমে পশু-পাখি, গাছ পালা, পানির মাছও হা হুতাশ করছে। এ অবস্থায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় সালাতুল ইসতিসকার বা বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা। স্থানীয় মুসলিম ও কৃষকদের আয়োজনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১০টার দিকে উপজেলা সদরের সালথা মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই নামাজ আদায় করা হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে আগত কয়েকশো ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন। তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে ও আল্লাহর রহমতের আশায় বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর রহমত কামনা করে তাপদাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টিবর্ষণের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দোয়া করার সময় আল্লাহর রহমতের আশায় অঝোরে কান্নাকাটি করেছেন বেশ কয়েকজন মুসল্লী। বিশেষ এই নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা জহুরুল হক (র:) মাদ্রাসা সালথা এর মোহতামিম হাফেজ মাওলানা নেছারউদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, সমাজে যখন অন্যায় অত্যাচার ও পাপাচার বেড়ে যায়, মানুষ মহান আল্লাহর সাথে নফরমানি করে, যাকাত দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তখনই অতি বৃষ্টি অনাবৃষ্টির মত অবস্থা তৈরি হয়। আমরা যদি আল্লাহর নিকট তওবা করে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করি তাহলে মওলা পাক চাইলে আমাদের রহমতের বৃষ্টি দান করতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা বেশি বেশি আমল করবো ইসতেগফার পাঠ করবো এবং ভবিষ্যতে আমরা আর পাপাচারে লিপ্ত হবো না, তাহলেই মওলা পাক আমাদের ক্ষমা করতে পারেন।
এছাড়াও মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক, বাগে নুরে মাদিনা মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ কারী মোঃ আরিফ বিল্লাহ, সালথা চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহবুব আলী সিদ্দিকী নসরু মিয়া, হাজী চৌধুরী শাহাবুদ্দিন সোনা মিয়া, হাজী মো আবু বক্কর সহ কয়েকশো মুসল্লি ও কৃষক ইসতিসকার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।