বোলারদের কল্যাণে শ্রীলঙ্কাকে অল্প রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ। এমন সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার ও টপ অর্ডারকে হারিয়ে হোঁচট খায় টাইগাররা। সেই ধাক্কা সামলে দলকে উদ্ধার করে জয়ের পথ দেখান লিটন কুমার দাস ও তৌহিদ হোসেন হৃদয়। শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
লাইভ: রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে শুরু বাংলাদেশের
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ।
থুশারার জোড়া আঘাত
নুয়ান থুশারার জোড়া আঘাতে মহাবিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। অহেতুক বেরিয়ে এসে স্টাম্পের বল মারতে গিয়ে বোল্ড হন রিশাদ হোসেন। ৩ বলে তিনি করেন ১ রান।
পরের বলে এলিবডব্লিউ হয়ে যান তাসকিন আহমেদ। বাকি দুটি বল কাটিয়ে দেন তানজিম হাসান।
আরেক প্রান্তে বাংলাদেশের আশা হয়ে টিকে আছেন মাহমুদউল্লাহ।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ১১৪।
টিকলেন না সাকিব
অহেতুক শট খেলে উইকেট বিলিয়ে এলেন সাকিব আল হাসান। সমীকরণ বাংলাদেশের দিকে হেলে। মূল বোলারদের বাইরে আরও দুটি ওভার বাকি শ্রীলঙ্কানদের। তবুও মাথিশা পাথিরানাকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিলেন সাকিব।
১৪ বলে ৮ রান করে বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। পরের বলে ক্যাচ দিতে দিতে বেঁচে গেছেন নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন।
১৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১১১। জয়ের জন্য শেষ ৩ ওভারে ১৪ রান চাই তাদের।
লিটনকেও ফেরালেন হাসারাঙ্গা
খরুচে বোলিংয়ের পর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট নিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এবার তার শিকার লিটন কুমার দাস। এঙ্গেল ধরে রেখে ভুল লাইনে রক্ষণ করে এলবিডব্লিউ হলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ বলে ৩৬ রান করেন লিটন। সাত নম্বরে নামলেন মাহমুদউল্লাহ।
১৪.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৯৯ রান। সাকিব ৬ বলে ৪ রানে অপরাজিত। জয় থেকে আর ২৫ রান দূরে বাংলাদেশ।
তিন ছক্কার পর অক্কা হৃদয়
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে টানা তিন ছক্কা মেরে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয়। ভাঙল পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
দ্বাদশ ওভারে প্রথম দুই বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কা মারেন হৃদয়। পরের বলে ইনসাইড আউটে মারেন আরেকটি। চতুর্থ বলে হয়ে যান এলবিডব্লিউ।
শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। জোরাল আবেদনে সাড়া না দিলে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন হাসারাঙ্গা। তাতে পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ভাঙে ৩৮ বল স্থায়ী ৬৩ রানের জুটি।
২০ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৪০ রান করেন হৃদয়।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৯২। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৩ রান।
মাঝপথে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ
লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ৩ উইকেটে ৬৪। পাওয়ার প্লে অর্থাৎ ৬ ওভার শেষে রান ছিল ৩ উইকেটে ৩৪।
রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা মূলত করেছেন হৃদয়। একটি করে ছক্কা ও চারে ১৩ বলে তিনি খেলছেন ২০ রানে।
নিজের সহজাত ক্রিকেট ভুলে এক প্রান্ত আগলে রেখেছেন লিটন। ২৫ রান করতে খেলেছেন ২৬ রান। মেরেছেন কেবল দুটি বাউন্ডারি।
জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৬১ রান চাই বাংলাদেশের।
টিকলেন না শান্ত
বাজে সময় আরও প্রলম্বিত হলো নাজমুল হোসেন শান্তর। নুয়ান থুশারার বলে ড্রাইভ করে শর্ট এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। নিচে রাখতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাখতে পারেননি ফিল্ডার থেকে দূরেও। ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন চারিথ আসালাঙ্কা।
১৩ বলে ৭ রান করেন শান্ত। ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।
থুশারার এই ওভারে পরে দুইবার রান আউট হতে হতে বেঁচে যান ব্যাটসম্যানরা।
৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৩৪। ১২ বলে ১৪ রানে খেলছেন লিটন দাস। ৩ বলে ৫ রান করে তার সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
টিকলেন না তানজিদ
প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে একমাত্র রানে ছিলেন তানজিদ হাসান। তিনিও ফিরলেন দ্রুত।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন নুয়ান থুশারা। তারই দারুণ এক ডেলিভারিতে অফ স্টাম্প হারালেন তানজিদ।ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। কিন্তু বলের লাইনে যেতে পারেননি। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে সুইং করে আঘাত হানে স্টাম্পে।
৬ বলে ৩ রান করেন তানজিদ।
২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।
শূন্যতেই শেষ সৌম্য
ছোট রান তাড়ায় কোনো চাপ নেই। হাতে আছে যথেষ্ট সময়। তবুও ব্যর্থতার চক্রেই আটকে রইলেন সৌম্য সরকার। আপাত সাদামাটা এক বলে বাজে শটে শূন্য রানে ফিরলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার বল মাঠের যে কোনো জায়গায় পাঠাতে পারতেন সৌম্য। কিন্তু না খেললেন জোরে, না করতে পারলেন টাইমিং। দ্বিধা নিয়ে শট খেলে দিলেন সহজ ক্যাচ।
স্পিন দিয়ে শুরু করে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেল শ্রীলঙ্কা।
১ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩। ক্রিজে তানজিদ হাসানের সঙ্গঅ লিটন দাস।
শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে থামাল বাংলাদেশ
দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে বেশি দূর যেতে দিল না বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পরও ৯ উইকেটে ১২৪ রানে থামল লঙ্কানদের ইনিংস। জয়ের জন্য তাই তুলনামূলক ছোট লক্ষ্যই পেল বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে কম রানেও অবশ্য জয়ের ঘটনা আছে দুটি। ২০১৪ সালে ১১৯ রান করে নিউ জিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পরের আসরে ১২৩ রানের পুঁজি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ রানে জিতেছিল আফগানিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৩ রান করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। পরের ১৪ ওভারে ৭ উইকেট নিয়ে মাত্র ৭০ রান খরচ করে বাংলাদেশ। ইনিংস বিরতিতে নিজেদের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাসকিন আহমেদ।
পাথুম নিসাঙ্কার২৮ বলে ৪৭ ছাড়া শ্রীলঙ্কার আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ১৮ রানে ৩টি ও রিশাদ হোসেন নেন ২২ রানে ৩ উইকেট। চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন ২৫ রানে নেন ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (নিসাঙ্কা ৪৭, কুসাল ১০, কামিন্দু ৪, ধানাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯, হাসারাঙ্গা ০, ম্যাথিউস ১৬, শানাকা ৩, থিকশানা ০, পাথিরানা ০*, থুশারা ০*; তানজিম ৪-০-২৪-১, সাকিব ৩-০-৩০-০, তাসকিন ৪-০-২৫-২, মুস্তাফিজ ৪-০-১৭-৩, রিশাদ ৪-০-২২-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪-০)
মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার
দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পরও বেশি দূর যেতে পারছে না লঙ্কানরা।
সবশেষ আঘাত করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন মাহিশ থিকশানা। ৪ ওভারে মুস্তাফিজের খরচ মাত্র ১৮ রান।
১৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১১৮ রান।
এবার তাসকিনের আঘাত
রিশাদ হোসেনের স্পেল শেষ হওয়ার পর এবার শ্রীলঙ্কার ইনিংসে আঘাত করলেন তাসকিন আহমেদ। দারুণ শর্ট বলে কট বিহাইন্ড হলেন দাসুন শানাকা। ৭ বলে তার সংগ্রহ ৩ রান।
১৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১১৮ রান। ১২ বলে ৯ রানে অপরাজিত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। নতুন ব্যাটসম্যান মাহিশ থিকশানা।
ধানাঞ্জয়াকেও ফেরালেন রিশাদ
নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে ফের আঘাত করলেন রিশাদ হোসেন। হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া লেগ স্পিনে বড় শটের চেষ্টায় পপিং ক্রিজ থেকে বেরিয়ে আসে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার পেছনের পা। দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প ভেঙে তার বিদায় নিশ্চিত করেন লিটন কুমার দাস।
ওভারের বাকি পাঁচ বলে মাত্র ৩ রান দেন রিশাদ। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রানে তার শিকার ৩ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই তার সেরা বোলিং।
১৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১২ রান। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ১০ বলে ৮ ও দাসুন শানাকা ৩ বলে ২ রানে খেলছেন। ২৬ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন ধানাঞ্জয়া।
রিশাদের জোড়া আঘাত
তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলে দুই উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন চারিথ আসালাঙ্কা। দুইবারের চেষ্টায় সেটি তালুবন্দী করেন সাকিব আল হাসান।
২১ বলে ১৯ রান করে ফেরেন আসালাঙ্কা। তার বিদায়ে ভাঙে ৩২ বলে ৩০ রানের জুটি।
পরের বলে অন সাইডে সরে জায়গা করে খেলার চেষ্টায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ব্যাটের বাইরের কানায় লাগে। স্লিপে কোনো ভুল করেননি সৌম্য সরকার। পরে হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৩ রান। ২৪ বলে ২০ রানেখেলছেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৩ রান নেওয়া লঙ্কানরা পরের ৯ ওভারে ৩ উইকেটে করতে পেরেছে ৫০ রান।
মাঝপথে শ্রীলঙ্কা ৭৪/৩
প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি পাচ্ছিলশ্রীলঙ্কা। এই ধারা ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ। তার অফ স্পিন দিয়ে শেষ হলো শ্রীলঙ্কার প্রথম ১০ ওভার।
পাওয়ার প্লের পর রানের গতি বেশ কমেছে। প্রথম ৬ ওভারে ৫৩ রান তুলেছিলেন শ্রীলঙ্কা। পরের ৪ ওভারে এসেছে কেবল ২১ রান।
১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ৭৪। ১৪ বলে ১১ রানে খেলছেন একাদশে ফেরা ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৫ বলে রানে ব্যাট করছেন সবে ক্রিজে আসা চারিথ আসালাঙ্কা।
বিপজ্জনক নিসাঙ্কাকে থামালেন মুস্তাফিজ
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশের দিকে ছুটছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা। তার আগেই বিপজ্জনক এই ওপেনারকে ফেরালেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের আগের বলে চার মেরেছিলেন নিসাঙ্কা। পরের বলে অনেকটা গায়ের জোরে তুলে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু ফুল লেংথ ডেললিভারিতে গতি বেশ কমিয়ে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তাতে টাইমিং করতে পারেননি ব্যাটসম্যান। কাভারে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভাঙে ২২ বল স্থায়ী ২২ রানের জুটি।
২৮ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৪৭ রান করেন নিসাঙ্কা।
৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ৭০। ক্রিজে ধানাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গা চারিথ আসালাঙ্কা।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৫৩
টস জিতে বোলিং নিয়ে পাওয়ার প্লেতে দুটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে বিপরীতে ৫৩ রান করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্কা ১৮ বলে ৩৪ ও ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা ৫ বলে ৫ রানে খেলছেন।
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে ব্রেক থ্রু দেন তাসকিন আহমেদ। জোড়া বাউন্ডারি মেরে তৃতীয় বলে বোল্ড হন কুসাল মেন্ডিস। এক ওভার পর সাকিবের বলে ৪টি চার মারেন নিসাঙ্কা।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান।
বোলিংয়ে এসেই মুস্তাফিজের আঘাত
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি উড়িয়ে মারার চেষ্টায় মিড অফে তানজিম হাসানের হাতে ক্যাচ দিলেন কামিন্দু মেন্ডিস।
৫ বলে ৪ রান করে ফিরলেন কামিন্দু। ৫.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৮ রান। চার নম্বরে নামলেন ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা।
১৮ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা।
তাসকিনের ব্রেক থ্রু
তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি হজম করেন তাসকিন আহমেদ। তবে পরের বলেই তিনি ফিরিয়ে দিলেন কুসাল মেন্ডিসকে। ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি স্টাম্পে টেনে আনেন লঙ্কান ওপেনার।
২.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২১ রান। ৮ বলে ১০ রান করে ফিরলেন কুসাল। তিন নম্বরে নামলেন কামিন্দু মেন্ডিস।
৭ বলে ১১ রানে খেলছেন পাথুম নিসাঙ্কা।
দ্বিতীয় ওভারে স্পিন
ওয়াকার ইউনিস পিচ রিপোর্টে বলেছিলেন, উইকেট থেকে স্পিনাররা তেমন সহায়তা পাবেন না। সেটি নিয়ে হয়তো তেমন দুর্ভাবনা নেই বাংলাদেশ দলের। দ্বিতীয় ওভারেই তারা আক্রমণে এনেছে বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে।
নতুন বলে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেছেনতানজিম হাসান। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হজম করলেও ওভার থেকে ৫ রানের বেশি দেননি তিনি।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা
দুই দলের আগের ১৬ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫টি। বাকি ১১ ম্যাচ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে ২০০৭ ও ২০২১ সালে মুখোমুখি হয়েছে তারা। দুইবারইজয়ী লঙ্কানরা। দুই দলের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিই জিতেছে তারা।
পেস সহায়ক উইকেট
পিচ রিপোর্টে ওয়াকার ইউনিস বলেছেন, এক দিকের বাউন্ডারি ছোট (এক দিকে ৬১, অন্য দিকে ৭০ মিটার)। পিচে বাউন্স থাকবে বেশি। উইকেট দারুণ। খুব ভালো আচরণ করা উচিত। পিচে ঘাসের ছোঁয়া আছে। তাই স্পিন তেমন হওয়ার কথা নয়। তবে ফ্লাইট দিলে ফিঙ্গার স্পিনারদের চেয়ে লেগ স্পিনাররা বেশি কার্যকর হতে পারে।
শ্রীলঙ্কা একাদশে এক পরিবর্তন
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সাদিরা সামাউইক্রামারা জায়গায় তারা দলে নিয়েছে স্পিন অলরাউন্ডার ধানাঞ্জয়া ডি সিলভাকে।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসাঙ্কা, কুসাল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, মাহিশ থিকশানা, নুয়ান থুশারা, মাথিশা পাথিরানা।
তাসকিনকে নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ
চোট থেকে সেরে উঠে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলছেন তাসকিন আহমেদ। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে হাতে চোট পাওয়ায় নেই শরিফুল ইসলাম। পেস বিভাগে অন্য দুজন মুস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।
স্পিনে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আছেনরিশাদ হোসেন। এছাড়া দলের প্রয়োজনে মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকারকে বোলিং করতে দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কয়েন ভাগ্য পাশে পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শুরুর দিলে উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা শান্তর। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো রানের কথা মাথায় রেখে খেলবেন না তারা।
বিশ্বকাপ অভিযান শুরু বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে সবার পরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শনিবার তাদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায়।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গতিবিধি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে এই ম্যাচেই। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে খেলার জন্য লঙ্কানদের বিপক্ষে জয় অতি গুরুত্বপূর্ণ নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে গিয়ে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। তাই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে থাকার কথা তাদের। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দলের মোকাবিলাই হয়তো করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের অবস্থাও অবশ্য তেমন আশা জাগানিয়া নয়। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে তারা। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও তেমন লড়াই করতে পারেনি তারা।
তাই দুই দলের সামনেই থাকবে অভিন্ন লক্ষ্য। ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করা।