নাগরিক অধিকার

শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করে। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আদালত ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছে এবং এ সময়ে আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মামলার শুনানিতে জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে এবং তারা প্রভাবশালী। তাদের কারণে মামলার আলামত নষ্ট হতে পারে এবং তদন্ত কাজে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান অজানা এবং তিনি দেশেই আছেন নাকি দেশত্যাগ করেছেন, সে সম্পর্কে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই সরকারের কাছে।

পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। চিফ প্রসিকিউটর মামলার প্রমাণাদি ও তথ্যাদি তুলে ধরে আসামিদের গ্রেপ্তারের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে আসামিদের হাজির করার নির্দেশ দেয়।

তাজুল ইসলাম জানান, “আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য ৪৫ জনের ক্ষেত্রেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।” তবে, নিরাপত্তার কারণে অন্যদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।