নাগরিক অধিকার

শনিবার ঢাকার সব প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানী ঢাকার সব প্রবেশ মুখে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচনের তারিখ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে অবাধ নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার ঢাকার সব গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ মুখে সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, তারেক রহমানসহ সবার মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিলের দাবি জানান।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। এটা সাংবিধানিক অধিকার। আমরা আশা করব প্রশাসন এই কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সহযোগিতা করবে, তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে মানুষের কোনো অধিকার নেই। সব কিছু কেড়ে নিয়েছে এরা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহাসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর সোয়া দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম ও উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদীন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম, আলতাফ চৌধুরী, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ।

মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বৃহস্পতিবার থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসেন। সকাল নয়টার মধ্যে পুরো নয়াপল্টনে লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। দুপুরে এর পরিধি আরামবাগ, ফকিরাপুল, কাকরাইল, শান্তিনগর, দৈনিক বাংলা এবং পল্টন মোড় পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। সমাবেশ চলাকালে দুদফা বৃষ্টি নামলেও অব্যাহত থাকে সমাবেশ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে সমাবেশে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে মুখরিত করে রাখে পুরো এলাকা।

বৃহস্পতিবার রাত দশটায় শুরু হয় মঞ্চ নির্মাণ কাজ। নয়টি ট্রাক দিয়ে করা হয় মহাসমাবেশের ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ। আশেপাশে লাগানো হয় দেড় শতাধিক মাইক।