নাগরিক অধিকার

রাণীশংকৈলে শরতেই শীতের আগমনী বার্তা, দেখা মিলছে কুয়াশার

শরৎকাল এখনো শেষ হয়নি, তবে উত্তরবঙ্গের রাণীশংকৈলে শীতের আগমনী বার্তা অনুভূত হতে শুরু করেছে। ভোরের শিশির ও কুয়াশা এখন দৃশ্যমান, যা গত বছরের তুলনায় একটু আগেই এসেছে।

স্থানীয়রা জানান, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়লে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় পিচঢালা পথগুলো ভিজে গেছে। গাছের পাতা, সবুজ ধানের খেত এবং ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু ঝরছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে।

স্থানীয় নাজমুল হোসেন বলেন, “মনে হচ্ছে এবার একটু আগেভাগেই শীতের দেখা মিলবে। মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এই আবহাওয়ায় সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে।”

আবুল হোসেন নামে আরেক যুবক জানান, “প্রতিদিন সকালে অফিসে যাই। কয়েকদিন ধরে ভোরে বেশ ঠান্ডা লাগছে। মনে হচ্ছে, এবার শীত দ্রুত চলে এসেছে।”

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, “ঠাকুরগাঁও জেলায় কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র আগেভাগেই বিতরণ করা হবে।”