যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৮২ জন প্রবাসী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন হতে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে অ্যামিরেটস এয়ালাইন্সের একটি ফ্লাইট যোগে ৮২ জন বাংলাদেশিকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এবং ছয় জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরে এসেছেন।
৭৬ জন বাংলাদেশি বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং ছয় জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ পর্যন্ত ১১ টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন।
লেবাননে ইসরায়েলি বোমা হামলায় এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান যুদ্ধাবস্থায় যত প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চান তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যারা ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।