নাগরিক অধিকার

মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী

মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী (১১ মার্চ ১৯২৫-১৬ জানুয়ারি ২০১২), যিনি সেলিম নামেও পরিচিত; পাকিস্তান আমলের একজন রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য। যিনি ইসলামী গবেষক, চিন্তাবিদ, সংগঠক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হিসেবেও পরিচিত। তিনি বাংলাদেশভিত্তিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক সংগঠন হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা। হেযবুত তওহীদের অনুসারীগণ তাকে অনেকসময় ইমামুযযামান বা ‘বর্তমান সময়ের নেতা’ হিসেবে অবিহিত করে।

জন্ম ও শিক্ষা জীবন:
বায়াজীদ খান পন্নী ১৯২৫ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ মেহেদী আলী খান পন্নী, মাতার নাম ——————–। বায়াজীদ খান পন্নী ছোটবেলায় করটিয়া গ্রামের রোকেয়া উচ্চ মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৪২ সালে হাফিজ মাহমুদ আলী (এইচ. এম.) ইনস্টিটিউশন থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। এরপর টাঙ্গাইলের সা’দাত কলেজে কিছুদিন পড়াশুনা করেন। এরপর বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে প্রথম বর্ষের পাঠ সমাপ্ত করেন, দ্বিতীয় বর্ষে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান মৌলানা আজাদ কলেজ) এ ভর্তি হয়ে উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন।

পারিবারিক পরিচয়:
মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী টাঙ্গাইলের করটিয়ার ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান। তার পিতা মোহাম্মদ মেহেদী আলী খান পন্নী, পিতামহ সুফি সাধক আধ্যাত্মিক পুরুষ মোহাম্মদ হায়দার আলী খান পন্নী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ধনবাড়ির জমিদার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী তার নানা। তাঁর খালু নওয়াবজাদা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী (বগুড়া) ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৩-১৯৫৫), চাচাতো ভাই মোহাম্মদ খুররম খান পন্নীও (কে.কে. পন্নী) ছিলেন আইন পরিষদের সদস্য; যিনি পরবর্তীতে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্বের অঙ্গনে ব্যাপক কূটনীতিক তৎপরতা চালান। বায়াজীদ খান পন্নীর পূর্বপুরুষ তাজ খান কররানি (শাসনকাল ১৫৬৪-১৫৬৬) ষোড়শ শতাব্দীতে বঙ্গভূমিতে কাররানী রাজবংশের গোড়া পত্তন করেন। যিনি বাংলা, উড়িষ্যা ও বিহারের অংশবিশেষ শাসনকারী আফগান বংশোদ্ভূত কররানী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। প্রবাদপ্রতীম বীরযোদ্ধা কালাপাহাড় ছিলেন তারই সেনাপতি। তাজ খান কররানির মৃত্যুর পর বঙ্গভূমির সুলতান হন তার ছোট ভাই সুলায়মান খান কররানি (শাসনকাল ১৫৬৬-১৫৭২)। এই পরিবারের মধ্যে বঙ্গভূমি শাসনকর্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- দাউদ খান কররানি, বায়াজীদ খান কররানি, সাঈদ খান পন্নী। তাজখান কররানির ভাই সুলায়মান খান কররানি তার শাসনামলে জনৈক সুফি সাধক আলী শাহান শাহ আদম কাশ্মিরী (র)-কে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার হিসেবে নিয়োগ দিলে তিনি এই অঞ্চলে বসবাস শুরু করে; তখন এলাকাটি আতিয়া পরগনা (আতা শব্দের অর্থ দান) নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে আদম কাশ্মিরীর পরামর্শে সম্রাট জাহাঙ্গীর কররানি বংশীয় বায়াজীদ খান কররানির সন্তান সাঈদ খান কররানিকে আতিয়া পরগণার শাসনকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন। এই সাঈদ খান পন্নীই টাঙ্গাইলের করটিয়ার জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। সাঈদ খান পন্নী ১৬০৯ সালে আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন; যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত ১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটে এই মসজিদের ছবি ব্যবহার করা হয়।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন:
বায়াজীদ খান পন্নী কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ালেখার সময় ভারত উপমহাদেশ ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উত্তাল। তরুন বায়াজীদ খান পন্নী এ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেই সুবাদে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের কিংবদন্তী মহাত্মা গান্ধী, কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অরবিন্দ ঘোষ, শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী, আল্লামা এনায়েত উল্লাহ খান আল মাশরেকীর সহচর্য লাভ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় বায়াজীদ খান পন্নী যোগ দিয়েছিলেন আল্লামা এনায়েত উল্লাহ খান আল মাশরেকী প্রতিষ্ঠিত ‘খাকসার’ আন্দোলনে। ছাত্র বয়সে একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে যোগদান করেও তিনি দ্রুত জ্যেষ্ঠ নেতাদের ছাড়িয়ে পূর্ববাংলার কমান্ডারের পদ লাভ করেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে দুঃসাহসী কর্মকাণ্ড ও সহজাত নেতৃত্বের গুণে তিনি ‘সালার-এ-খাস হিন্দ’ মনোনীত হন। দেশ বিভাগের অল্পদিন পর তিনি বাংলাদেশে (তদানিন্তন পূর্বপাকিস্তান) নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেন এবং রাজনীতির সংস্রব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন আরম্ভ করেন।

কর্মজীবন:
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তিনি তার নিজ গ্রামে ফিরে আসেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝিতে এসে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং দাদার উৎসাহে টাঙ্গাইল হোমিও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৭ সালে হোমিওপ্যাথিতে ডিগ্রী অর্জন শেষে নিজ গ্রামে চিকিৎসা শুরু করেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হওয়ার পর তার সুমান সর্বমহলে পরিচিত লাভ করে। পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য থাকার সুবাদে রাজনৈতিক অঙ্গনে চিকিৎসক হিসাবেও তাঁর সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। ছয় সদস্যের বোর্ডে বায়াজীদ খান পন্নী ছিলেন একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি তাঁর রোগীদের অন্তুর্ভুক্ত ছিল।

রাজনীতিতে পত্যাবর্তন:
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের এক যুগ পর বায়াজীদ খান পন্নী আবারও রাজনীতির অঙ্গনে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে টাঙ্গাইল-বাসাইল আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী হন। নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ, মুসলিম লীগের প্রার্থীগণসহ বিপক্ষীয় মোট ছয়জন প্রার্থীকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত কোরে এমপি নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীই এত কম ভোট পান যে সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সেবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেকেই চেয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ মওলানা ভাসানীকে দিয়ে ক্যাম্পেইন করাতে, কিন্তু মওলানা ভাসানী বলেছিলেন, ‘সেলিমের (ডাকনাম) বিপক্ষে আমি ভোট চাইতে পারব না, চাইলেও লাভ হবে না। কারণ তাঁর বিপক্ষে তোমরা কেউ জিততে পারবে না।’ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য থাকা অবস্থায় তিনি ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন’ এর সদস্যপদ লাভ করেন। এছাড়াও তিনি সরকারের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পাবলিক-একাউন্ট, কমিটি অফ রুল এ্যান্ড প্রসিডিউর, কমিটি অন কনডাক্ট অফ মেম্বারস, সিলেক্ট কমিটি অন হুইপিং বিল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য পদে আসীন হন।

সামাজিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য:
বায়াজাদী খান পন্নী ১৯৬৩ সালে করটিয়ায় হায়দার আলী রেড ক্রস ম্যাটার্নিটি অ্যান্ড চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নজরুল একাডেমির আজীবন সদস্য হিসেবে ছিলেন। ১৯৫৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তান দলের অন্যতম রায়ফেল শুটার হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মুসলমান ও হিন্দু, বাঙালি ও বিহারিদের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিক স্বার্থহাসিলের জন্য আইয়ুব সরকার এ দাঙ্গাকে উৎসাহিত করে। বায়াজীদ খান পন্নী এমপি হয়েও সরকারের নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে দাঙ্গা কবলিত এলাকাগুলোয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করেন।

জন্মগত শিকারী ও বাঘ-বন-বন্দুক বই:
বায়াজীদ খান পন্নী ছোটবেলা থেকেই ছিলেন একজন শিকারি; শিকারের নেশা তাঁর রক্তে মিশে ছিল। তার শিকারের মধ্যে ছিল কুমির, চিতাবাঘ, বন্য শুকর, অজগর সাপসহ বহু হিংস্র প্রাণী। তাঁর পোষা প্রাণি ছিল একটি চিতাবাঘ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাবা ও চাচার সঙ্গে শিকারে গিয়ে টাঙ্গাইলের গোড়াই নদী থেকে একটি কুমির শিকার করেন। হিংস্র প্রাণির মধ্যে এটিই তাঁর প্রথম শিকার। সুযোগ পেলেই রাইফেল হাতে চলে যেতেন দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে। শিকারের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ‘বাঘ-বন-বন্দুক’ নামক একটি বই লেখেন। বইটি শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনির চৌধুরীর সুপারিশে দ্বাদশ শ্রেণির দ্রুতপাঠ হিসেবে অন্তর্ভক্ত হয়েছিল। সৈয়দ আব্দুল মান্নান, অধ্যাপিকা আনোয়ারা খাতুন সহ আরো অনেক বরেণ্য লেখক, ব্যক্তিবর্গ ও পত্র-পত্রিকা বইটি সম্পর্কে তাদের সপ্রশংস অভিমত ব্যক্ত করেন। এছাড়া পকিস্তান বেতার থেকেও বইটির ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। বইটি পড়ে অধ্যাপক মুনির চৌধুরী মন্তব্য করেছিলেন: “বাঘ-বন-বন্দুক এক উপেক্ষিত এবং অনাস্বাদিত জগতের যাবতীয় রোমাঞ্চ ও উৎকন্ঠাকে এমন সরসরূপে উপস্থিত করেছে যে পঞ্চমুখে আমি তার তারিফ করতে কুণ্ঠিত নই।…আমি বিশেষ করে মনে করি এই বই আমাদের দশম কি দ্বাদশ শ্রেণীর দ্রুতপাঠের গ্রন্থরূপে গৃহিত হওয়া উচিত।”

হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠা:
বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৯৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি করটিয়ার দাউদমহলে হেযবুত তওহীদ নামে একটি আন্দোলনের সূচনা করেন। হেযবুত তওহীদ ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন হওয়ায় তিনি তথাকথিত আলেম ও শাসক শ্রেণি দ্বারা বারবার লাঞ্ছিত হয়েছেন। একাধিকবার অন্যায়ভাবে কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।

পারিবারিক জীবন:
বায়াজীদ খান পন্নী ১৯৬৯ সালে ৪৪ বছর বয়সে এদেশে বসবাসরত বোম্বের কাচ এলাকার অধিবাসী মেমন বংশের মেয়ে মরিয়ম সাত্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৬ সালে স্ত্রীর ইন্তেকালের পর ১৯৯৯ সালে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের খাদিজা খাতুনের সাথে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তানের জনক। তারা হচ্ছেন-
১. মোহাম্মদ সা’দাত আলী খান পন্নী (১৯৯৮ সালে ২৭ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান)।
২. উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্নী (চিকিৎসক ও লেখিকা)।
৩. কুররাতুল আইন রুফায়দাহ পন্নী (সম্পাদক, দৈনিক দেশেরপত্র)
৪. সাইফ আল মুসান্না খান পন্নী (ছাত্র)

লেখালেখি:
বায়াজীদ খান পন্নী বেশকিছু আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই লিখেছেন। যার মধ্যে- বাঘ-বন-বন্দুক বইটি পাকিস্তান লেখক সংঘের (পূর্বাঞ্চল শাখা) সম্পাদক শহীদ মুনির চৌধুরীর সুপারিশে শিক্ষা বোর্ড কর্ত্তৃক দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে দ্রুতপাঠ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার লেখা দাজ্জাল? ইহুদী-খ্রীস্টান ‘সভ্যতা’! বইটি ২০০৮ সালে দেশের সর্বাধিক বিক্রয়কৃত বই। এছাড়াও তিনি পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা, ধর্ম ও রাজনৈতিক প্রসঙ্গে প্রবন্ধ লিখেছেন।

তার লেখা অন্যান্য বইসমূহ:
এ ইসলাম ইসলামই নয়।
ইসলামের প্রকৃত রুপরেখা
দ্য লস্ট ইসলাম
জেহাদ, কেতাল ও সন্ত্রাস
ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রমূলক শিক্ষাব্যবস্থা
শ্রেণিহীন সমাজ, সাম্যবাদ ও প্রকৃত ইসলাম
বর্তমানের বিকৃত সুফিবাদ
মোমেন, মুসলিম ও উম্মতে মোহাম্মদীর আকিদা

ইন্তেকাল:
বায়াজীদ খান পন্নী ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।