বন্যাকবলিত মাঠে মৃদু হাওয়ায় দুলছে সোনালী ধানের শীষ
মৌলভীবাজারের রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া আমন ধানের মাঠ এখন সোনালী ধানে ভরে উঠেছে। দীর্ঘ বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পর কৃষকরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে চারা সংগ্রহ করে চাষাবাদ করেছেন। এসময় বিলম্বিত হলেও ধানের গাছে শীষ এসেছে, যা কৃষকদের আশা জাগাচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নতুন করে রোপণ করা ধানের গাছে বড় গোছা ও লম্বা শীষ দেখা যাচ্ছে। তবে চিটা হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। কমলগঞ্জের শ্যামেরকোনা গ্রামের আব্দুল আহাদ বলেন, “ফসল হারানোর দুশ্চিন্তা অনেকটা কমেছে। খরচ বেশি হলেও ধারণা করছি ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।”
রাজনগর উপজেলার বালিসহস্রা গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, “আমন খেতের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে এখন ধানের মাঠে সোনালী রোদে ঝলমল করছে ধান।”
মৌলভীবাজার কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, “বন্যায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাধা এসেছে। চাষাবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর। বিলম্বে রোপণ করা ১৪ হাজার হেক্টর জমি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ফলন ও চিটা হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।”
চলতি মৌসুমে বন্যার কারণে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা সম্ভব হয়নি। কৃষকরা বিভিন্ন উৎস থেকে চারা সংগ্রহ করে পুনরায় চাষ করেছেন। খরচ দ্বিগুণ হলেও কৃষকরা আশাবাদী যে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বন্যার ধাক্কা সামলে ওঠা এই ধানের মাঠগুলো এখন হেমন্তের সোনালী রোদে ঝলমল করছে। স্থানীয় কৃষকদের মুখে আশার আলো ফুটেছে, যদিও প্রকৃত লাভের বিষয়টি নির্ভর করছে আবহাওয়া ও ধানের মানের ওপর।