নাগরিক অধিকার

নতুন দল এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ কেমন হলো?

বেশ কিছুদিন ধরে চলা নানা জল্পনা ও রাজনৈতিক বিতর্ক পার করে অবশেষে প্রকাশ্যে এলো অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের দল। নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইংরেজিতে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি, সংক্ষেপে এনসিপি।

কয়েকদিন আগে থেকেই নতুন দলের নাম ও শীর্ষ পদগুলোতে কারা আসছেন, সেই খবর প্রকাশ হতে থাকে গণমাধ্যমে। আত্মপ্রকাশের সময় সেই তালিকা প্রায় অপরিবর্তিতই থাকে। আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠান নির্ধারিত তিনটায় শুরু হলেও তা সাড়ে চারটায় গড়ায়। চার ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। এরপর কেন্দ্রীয় নেতারা আসেন পাঁচটা নাগাদ। অনুষ্ঠানস্থলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তারা নতুন দলকে স্বাগত জানানোর কথা বলেন।

দুপুর থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা দুই কর্মী জানালেন, তারা প্রায় ৫০টি বাস ভর্তি করে এসেছেন কর্মসূচিতে যোগ দিতে।

নতুন দলের যাত্রা শুরুর দিনে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে।

অনুষ্ঠানের মঞ্চে chairs-tables এর পরিবর্তে নেতারা মঞ্চের মেঝেতে বসেন, যা অনেকেই একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দলের লক্ষ্য হিসেবে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।

এনসিপি’র প্রতিষ্ঠা এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্লোগানও দেওয়া হয় যেমন “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” এবং “ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা”।