নাগরিক অধিকার

তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও অন্যতম সহযোগী শাহরিয়ার বিপ্লব এখনও অধরা

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ‘বান্ধবী ও ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত’ তৌফিকা করিম এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি।

তৌফিকা করিম আইনপেশার সূত্রে সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন বলে সিআইডির ভাষ্য। আনিসুল হকের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত সিরাজুল হক এসোসিয়েটস এর অন্যতম আইনজীবী এই তৌফিকা করিম। একই এসোসিয়েট’স এর আইনজীবী তৌফিকা করিমের সহযোগী অ্যাডভোকেট মো. শাহরিয়ার কবির বিপ্লব।

সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের আদালত পাড়ায় বাণিজ্য, রায় বদল, এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে শাহরিয়ার কবির বিপ্লব বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে বিলাসবহুল বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, এবং স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন। এছাড়া, সাভারের সিংগাইর এলাকায় বিপ্লবের মালিকানাধীন একটি কটেজ থেকে রঙ্গমঞ্চ, জুয়া, এবং অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের হয়ে বিদেশে টাকা পাচার এবং বিভিন্ন সরকারি পদে নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম তৌফিকা করিম এবং শাহরিয়ার কবির বিপ্লব উভয়ের যোগসাজশে সম্পন্ন করা হোত। সাবেক এই মন্ত্রীর ‘প্রত্যক্ষ মদদ ও প্রশ্রয়ে’ ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়ে তোলা ‘অবৈধ সিন্ডিকেট ও লুটপাটের সাম্রাজ্যের অন্যতম সদস্য এই বিপ্লব।

সিআইডি বলছে, ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর অধস্তন আদালতে ‘খাতা পরিবর্তন, জালিয়াতি, পরীক্ষা না দিয়েও চাকরি প্রদান, বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা গ্রহণ’ করে তাদের জামিনসহ মামলার রায় পরিবর্তন করে দিতেন তৌফিকা করিম।

২০২০ সালে ঢাকার দায়রা জজ আদালত ও মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রীর এলাকা আখাউড়া-কসবার ১৮ জন গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় তৌফকা করিমের সঙ্গে শাহরিয়ার বিপ্লবের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত শুরু করলেও রহস্যজনক কারণে যাকে দিয়ে তৌফিকা করিম এসব কার্যকলাপ বাস্তবায়ন করতেন সেই শাহরিয়ার কবির বিপ্লব এখনও ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে।

উল্লেখ্য ৫ ই আগস্ট এর পরে শাহরিয়ার বিপ্লবের সাভারের রঙ্গশালায় বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলা করেছিল।
একাধিকবার ফোন করা হলেও সে ফোন রিসিভ করেননি। তার তার হাইকোর্ট চেম্বারে ৫ ই আগস্টের পরে আর বিপ্লব যায়নি এবং চেম্বার বন্ধ রয়েছে।