নাগরিক অধিকার

ছাত্রলীগ, ২৫২ এসআই এবং ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে কথা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা চায় বাংলাদেশিরা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মৌলিক মানবাধিকার উপভোগ করুক।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, বাংলাদেশের ২৫২ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুট ও পাচারের বিষয়ে আলোচনা হয়।

মিলার জানান, বাংলাদেশে ২৫২ জন পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে চূড়ান্ত নিয়োগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অভিযোগ উঠেছে যে, সমস্ত হিন্দু অফিসারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মিলার বলেন, “আমরা ধর্মীয় বৈষম্যের বিরোধিতা করি।”

এক সাংবাদিক সরকারের চাকরিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈষম্যহীন নিয়োগের বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিলার বলেন, “এই বিষয়ে নতুন কিছু বলতে পারি না।”

মিলার বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক স্বাধীনতাগুলো উপভোগ করা উচিত এবং আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এটি তুলে ধরেছি।”

এক সাংবাদিক জানতে চান, বাংলাদেশে সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগের প্রভাব কেমন। মিলার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।”

ওই সাংবাদিক পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে মিলার জানান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার লুটের বিষয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন। মিলার বলেন, “এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা।”

সাংবাদিক আরও জানান, এটি তার শেষ ব্রিফিং কারণ তিনি রাষ্ট্রদূতের পদে নতুন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। মিলার এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, “আমি ওই প্রতিবেদনের প্রভাব নিয়ে কথা বলতে পারি না, তবে নতুন পদে নিয়োগের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।”