চাল-আলু-তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের অসন্তোষ
ঢাকার বাজারগুলোতে চাল, আলু, ও তেলের দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহ ঘাটতির কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি পেলেও আলু ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসায় ক্রেতারা হতাশ।
সরকার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করলেও চার দিন পরও অনেক বাজারে তেলের সংকট রয়ে গেছে। খোলা সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা ডিলারদের বিরুদ্ধে মজুদের অভিযোগ তুললেও তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
নতুন আলু বাজারে আসার পরেও দাম কমেনি। বর্তমানে নতুন ও পুরনো আলু একই দামে, কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরকার আলু আমদানির শুল্ক কমালেও বাজারে তার প্রভাব পড়েনি।
সরু চালসহ বিভিন্ন ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। সরকারের শুল্ক প্রত্যাহারের পরও ভারত থেকে চাল আমদানি না হওয়ায় এই দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের কেজি যথাক্রমে ৭৬-৮২ টাকা এবং ৭২-৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। গোল বেগুন, মুলা, পেঁপে, এবং লাউয়ের মতো সবজি তুলনামূলকভাবে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কেজি প্রতি ৭০-৯০ টাকায় নেমে এসেছে।
সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন ক্রেতারা। বিশেষ করে তেল ও আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।