উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশনের অভিযোগ
ঢাকা, ১০ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার:
উইকিপিডিয়ায় হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য’ পরিবেশনের অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটি। আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন- হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, ঢাকা বিভাগীয় আমির ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, সহ-বিভাগীয় আমির আল আমিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রব্বানী, গণমাধ্যম সম্পাদক শারমিন সুলতানা চৈতী, আন্তধর্মীয় যোগাযোগ সম্পাদক ইলা ইয়াসমিন, যুগা নারী বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা প্রমুখ।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের সংগঠনকে ‘বাংলাদেশ সরকারের কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তারা বলেন, “২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিক পত্রিকার ভুল ব্যাখ্যামূলক খবরে ভিত্তি করে আমাদের বিরুদ্ধে কালো তালিকার অভিযোগ চালু হয়, অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রজ্ঞাপন বা সরকারি কাগজে হেযবুত তওহীদের নাম কখনোই কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, র্যাব, পুলিশ সদর দপ্তরসহ একাধিক সরকারি সংস্থায় যোগাযোগ করেছে, কিন্তু কোথাও হেযবুত তওহীদকে কালো তালিকাভুক্ত করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ‘কালো তালিকা’ নামে দেশে কোনো বৈধ তালিকা নেই।
হেযবুত তওহীদের নেতারা আরও বলেন, উইকিপিডিয়ায় এই বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকার কারণে সামাজিকভাবে তাদের সদস্যরা অপদস্থ হচ্ছেন, আয়োজিত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এবং প্রশাসনিক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তারা জানান, সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে গত ১৬ বছরে পাঁচ শতাধিক মামলা হয়েছে, যার একটিতেও আদালত কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। এতে বোঝা যায়, এই অপপ্রচার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্যে চালানো হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা উইকিপিডিয়ায় ভুল তথ্য সংশোধনের দাবি জানিয়ে বলেন, “আমরা উইকিপিডিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংশোধনের আবেদন করব। যদি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হব।”
এ সময় সরকারের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়, হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে একটি স্পষ্ট সরকারি ঘোষণা দিয়ে প্রশাসন, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চলমান বিভ্রান্তির অবসান ঘটানো হোক।