নাগরিক অধিকার

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইয়েমেনে ইসরায়েলি বিমান হামলা

ইসরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের পর ইয়েমেনের রাজধানী সানা, বন্দর শহর হোদেইদাহসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সীমায় প্রবেশের আগেই বাধা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনের শিয়া হুতি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। আল মাসিরাহ টেলিভিশন ও ইয়েমেনের বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় সানার বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং হোদেইদাহ বন্দরের পাশাপাশি রাস ঈসা তেল স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইয়েমেনের হুতিদের সামরিক স্থাপনায় নির্ভুলভাবে আঘাত হানা হয়েছে, যার মধ্যে জ্বালানি অবকাঠামো ও বন্দর রয়েছে। হুতিরা এসব স্থাপনা তাদের সামরিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে।”

ইরানের সমর্থনপ্রাপ্ত হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। তারা বলছে, ফিলিস্তিনের গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানাতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর ও আরব সাগরের আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, এসব হামলার লক্ষ্য ইসরায়েলি জাহাজ বা তাদের সহযোগী জাহাজ।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যেই হুতিদের এই পদক্ষেপ অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।