মডেল মেঘনার বিরুদ্ধে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মডেল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে। তবে তাকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কিত মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মেঘনাকে অপহরণ করা হয়নি। তার আইনগত অধিকার রয়েছে এবং তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২(এফ) ধারায় জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আইনটির ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে আটক রাখার প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, মেঘনাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।